ক্বণৎকাঞ্চীদামা করিকলভকুম্ভস্তননতা পরিক্ষীণা মধ্যে পরিণতশরচ্চন্দ্রবদনা। ধনুর্বাণান্পাশং সৃণিমপি দধানা করতলৈঃ পুরস্তাদাস্তাং নঃ পুরমথিতুরাহোপুরুষিকা।। আনন্দলহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের তত্ত্বাবধানে দৈত্যকুলসহ ভণ্ড ষাট হাজার বছর ধরে শিবের অর্চনা ও বৈদিক ক্রিয়াকাণ্ডের মাধ্যমে ক্রমশ নিজেদের সমৃদ্ধতর করে তুলতে লাগল। আচারনিষ্ঠার গুণে ও যজ্ঞপ্রভাবে তারা আরও বলশালী হয়ে উঠল। অন্যদিকে দেবরাজ ইন্দ্র যেন দৈত্যদের তুলনায় ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকলেন। […]Read More
সুধাসিন্ধোর্মধ্যে সুরবিটপিবাটীপরিবৃতে মণিদ্বীপে নীপোপবনবতি চিন্তামণিগৃহে । শিবাকারে মঞ্চে পরমশিবপর্যঙ্কনিলয়াং ভজন্তি ত্বাং ধন্যাঃ কতিচন চিদানন্দলহরীম্ || আনন্দলহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য তিলোত্তমার সৌন্দর্যে পাগল হয়ে শুণ্ড ও উপশুণ্ড বন্ধুত্ব ও বরের কথা বিস্মৃত হল। তিলোত্তমাকে কে বিবাহ করবে সেই নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ লেগে গেল ও দুজনেই দুজনের হাতে মারা গেল। স্বর্গরাজ্যে আবার শান্তি ফিরে এল। তিলোত্তমা অপ্সরাবর্গে […]Read More
ধনুঃ পৌষ্পং মৌর্বী মধুকরময়ী পঞ্চ বিশিখাঃ বসন্তঃ সামন্তো মলয়মরুদায়োধনরথঃ । তথাপ্যেকঃ সর্বং হিমগিরিসুতে কামপি কৃপাম্ অপাঙ্গাত্তে লব্ধা জগদিদ-মনঙ্গো বিজয়তে || আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য হয়গ্রীব বলতে লাগলেন, “ হে লোপামুদ্রাপতি অগস্ত্য, আমি এখন ভণ্ডাসুর বধের কাহিনি ব্যক্ত করব। শ্রবণ করো।” সতীর দেহত্যাগ পুরাকালে দক্ষ প্রজাপতির কন্যা পরাশক্তি সতীর সঙ্গে মহাদেবের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। বিবাহের পর থেকেই […]Read More
হরিস্ত্বামারাধ্য প্রণতজনসৌভাগ্যজননীং পুরা নারী ভূত্বা পুররিপুমপি ক্ষোভমনয়ৎ। স্মরোঽপি ত্বাং নত্বা রতিনয়নলেহ্যেন বপুষা মুনীনামপ্যন্তঃ প্রভবতি হি মোহায় মহতাম্।। আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য মোহিনী অবতার “দৈত্য মলকাসুর ধন্বন্তরীর হাত থেকে সুবর্ণময় অমৃতকলসটি ছিনিয়ে নিতেই দেবাসুরের মধ্যে প্রচণ্ড কলহ সৃষ্টি হল। ভগবান বিষ্ণু তখন অভিন্নসত্তা ললিতার শরণাপন্ন হলেন। ভগবতীর ভাবনায় ভাবিত হলে ভগবান বিষ্ণু ভগবতীর সারূপ্য লাভ করলেন। শৃঙ্গার-রস-মণ্ডিতা, […]Read More
ত্বদন্যঃ পাণিভ্যামভয়বরদো দৈবতগণঃ ত্বমেকা নৈবাসি প্রকটিতবরাভীত্যভিনয়া । ভয়াৎ ত্রাতুং দাতুং ফলমপি চ বাঞ্ছাসমধিকং শরণ্যে লোকানাং তব হি চরণাবেব নিপুণৌ।। আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য ইন্দ্র দেবগুরু বৃহস্পতির কাছে মদ্যপান ও পরনারীগমন সংক্রান্ত পাপের কথা জানতে চাইলেন। বৃহস্পতি বললেন, “পৈষ্টিক, তালজ, কৈর, মাধ্বী, গুড়সম্ভব ইত্যাদি নানা প্রকারের সুরা রয়েছে। বৃথাপান অর্থাৎ দেবতাকে অর্পণ না করে আসব পান করা […]Read More
কিং বর্ণয়াম তব রূপং-অচিন্ত্যং-এতৎ, কিঞ্চাতি বীর্যং-অসুর-ক্ষয়কারি ভূরি। কিঞ্চাহবেষু চরিতানি তবাতি যানি সর্বেষু দেব্যসুর-দেবগণাদিকেষু।। শক্রাদিকৃত দেবীস্তুতি, শ্রীশ্রীচণ্ডী দেবরাজ ইন্দ্রের প্রতি দুর্বাসার অভিশাপ মহামায়া অশেষ মায়া থেকে স্বর্গের দেবগণেরও নিষ্কৃতি নেই। স্বর্গরাজ্যের অতুল ঐশ্বর্যের অহংকারে বারংবার তাঁরা নিজেকে ত্রিজগতের অধিপতি ভেবে বসেন। স্বর্গও যে মহামায়ারই মায়া, তা তাঁরা বোঝেন না। মোহান্ধতার বশে নানাবিধ ভুল করে বসেন। তখনই […]Read More
বন্দি গণনাথ সিদ্ধিপতির চরণ। বিঘ্ন নাশো রচয়িতে ললিতা-কথন।। ব্রহ্মাণ্ড-পুরাণ মাঝে অন্ত্যখণ্ড নাম। ব্যাসে রচে ললিতার লীলা অভিরাম।। বন্দি আমি দেবনাথ দেশিক-চরণ। কালীদাসে মিলালেন ইষ্টের শরণ।। শুভদীপ অভিন্নশক্তি গণপতি, গুরু ও ইষ্টের আজ্ঞানুক্রমে আমরা আজ প্রবেশ করব ব্যাসপ্রোক্ত ব্রহ্মাণ্ডপুরাণের অন্ত্যখণ্ডে ললিতা-উপাখ্যান শীর্ষক অধ্যায়ে। আস্বাদন করব ভগবতীর দিব্যলীলা ও কাহিনি। অগস্ত্যের বিষ্ণুদর্শন দেবর্ষি অগস্ত্য ছিলেন বেদ-বেদাঙ্গে বিশারদ, […]Read More
ভূমিকা- দ্বিতীয় পর্ব শিবঃ শক্ত্যা যুক্তো যদি ভবতি শক্তঃ প্রভবিতুং ন চেদেবং দেবো ন খলু কুশলঃ স্পন্দিতুমপি। অতস্ত্বামারাধ্যাং হরিহরবিরিঞ্চাদিভিরপি প্রণন্তুং স্তোতুং বা কথমকৃতপুণ্যঃ প্রভবতি।। আনন্দলহরী, আদি শংকরাচার্য শিব যদি শক্তিযুক্ত না হন, তবে শিবের স্পন্দনেও সামর্থ্য থাকে না। ই-কার শক্তিস্বরূপা, শিব শব্দে ই-কার যুক্ত না হলে তিনি ‘শব’ হন, শবের স্পন্দন ঘটে না। শিব-শক্তির সম্মিলনেই […]Read More
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবানাঞ্চ প্রসূতে করুণাময়ি। জড়ানাং জ্ঞানদে দেবি ত্রাহি মাং শরণাগতম্।। বৃহন্নীলতন্ত্র তনোতি ত্রায়তে ইতি তন্ত্রঃ— কলিযুগে ত্রাণের অন্যতম উপায় তন্ত্রমার্গ। শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণবাদি সকল মতের উপাসনাতেই তন্ত্রশাস্ত্রের প্রভাব রয়েছে। তন্ত্র কেবল মদ্য-মাংস বা কেবল মারণ-উচাটন, সাধারণে এই ভুল ধারণা অতি মন্দ প্রভাব বিস্তার করেছে। তন্ত্র একটি বেদগ্রাহ্য দর্শন যা সামূহিক লোককল্যাণের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে […]Read More
বাংলায় দুর্গাপূজা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হওয়ার আগে যে স্মার্ত উৎসবগুলি সর্বাধিক লোকপ্রিয় ছিল তা হল, দোলযাত্রা, রথযাত্রা প্রভৃতি উৎসব। বিভিন্ন স্মৃতিগ্রন্থে, পুরাণে দোলযাত্রার পূর্ণাঙ্গ বিধি দৃষ্ট হয়। শ্রীকৃষ্ণের দ্বাদশযাত্রার মধ্যে অন্যতম হল দোলযাত্রা। বিশেষতঃ কলিযুগে দোলোৎসবো বিধীয়তে। ফাল্গুনে চ চতুর্দশ্যামষ্টমে যামসংজ্ঞকে।। অথবা পৌর্ণমাস্যান্তু প্রতিপতসন্ধিসম্মিতৌ। পূজয়েদ্বিধিবদ্ভক্ত্যা ফল্গুচূর্ণৈশ্চতুর্বিধৈঃ।। সিতরক্তের্গৌরপীতৈঃ কর্পূরাদিবিমিশ্রিতৈঃ। হরিদ্রাক্ষারযোগাচ্চ রঙ্গরম্যৈর্মনোহরৈঃ।। অন্যৈর্বা রঙ্গরম্যৈশ্চ প্রীণয়েত পরমেশ্বরম্। —পদ্মপুরাণে পাতালখণ্ডে। […]Read More