বাংলায় দুর্গাপূজা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হওয়ার আগে যে স্মার্ত উৎসবগুলি সর্বাধিক লোকপ্রিয় ছিল তা হল, দোলযাত্রা, রথযাত্রা প্রভৃতি উৎসব। বিভিন্ন স্মৃতিগ্রন্থে, পুরাণে দোলযাত্রার পূর্ণাঙ্গ বিধি দৃষ্ট হয়। শ্রীকৃষ্ণের দ্বাদশযাত্রার মধ্যে অন্যতম হল দোলযাত্রা। বিশেষতঃ কলিযুগে দোলোৎসবো বিধীয়তে। ফাল্গুনে চ চতুর্দশ্যামষ্টমে যামসংজ্ঞকে।। অথবা পৌর্ণমাস্যান্তু প্রতিপতসন্ধিসম্মিতৌ। পূজয়েদ্বিধিবদ্ভক্ত্যা ফল্গুচূর্ণৈশ্চতুর্বিধৈঃ।। সিতরক্তের্গৌরপীতৈঃ কর্পূরাদিবিমিশ্রিতৈঃ। হরিদ্রাক্ষারযোগাচ্চ রঙ্গরম্যৈর্মনোহরৈঃ।। অন্যৈর্বা রঙ্গরম্যৈশ্চ প্রীণয়েত পরমেশ্বরম্। —পদ্মপুরাণে পাতালখণ্ডে। […]Read More
স্কন্দ পুরাণ এবং স্মৃতিতে, মাঘের শেষ বা ফাল্গুনী প্রথম কৃষ্ণপক্ষীয় চতুর্দশী তিথিকে মহাশিবরাত্রি নামে অভিহিত করা হয়েছে। তন্ত্রে শিব বলছেন, পুষ্প-ধূপ-দীপ আদি নৈবেদ্যে তিনি যত না সন্তুষ্ট হ’ন— তার থেকে অধিক সন্তুষ্ট হ’ন শিবরাত্রির উপবাসে। উপবাস অর্থে তাঁর সমীপে বাস। শিবমহিমা চিন্তনে একটি রাত্রি যাপন করাই বৃহৎ অর্থে উপবাস। আচার-অনুষ্ঠান কেবলই বাহ্যিক অঙ্গ মাত্র। বাহ্যিক […]Read More
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি, অবিভক্ত বাংলার হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে, ফাল্গুন মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে। আজ তাঁর ১৮৭তম জন্মতিথি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সেই যুগাবতারকে যিনি চৈতন্য পরবর্তী সময়ে এবং বর্তমান পর্যন্ত বাংলার শেষ এবং সফল একজন যুগপুরুষ। গৌরচন্দ্রিকা পর্ব সংক্ষিপ্ত রেখেই আজ আমরা আলোচনা করব তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। […]Read More
মাঘে মাসি সিতে পক্ষে পঞ্চমী যা শ্রিয়ঃ প্রিয়া। তস্যাং পূর্বাহ্ন এবেহ কার্যঃ সারস্বতোৎসবঃ।। প্রতি ঋতুসূচক যজ্ঞের মধ্যে বসন্তঋতুর যে যজ্ঞ, তাই-ই বর্তমানে শ্রীপঞ্চমী, বসন্ত উৎসব বা সরস্বতীপূজা নামে খ্যাত। মাঘমাসে শুক্লপক্ষে পঞ্চমী তিথিতে পূর্বাহ্নে সরস্বতী, লক্ষ্মী, মস্যাধার, লেখনী, পুস্তক, বাদ্যযন্ত্রসহ যে পূজার আয়োজন করা হয়, তাই-ই সরস্বতী পূজা। যদিও শাস্ত্রমতে ঐদিন বিদ্যারম্ভ তিথি নয়, বরং […]Read More
প্রস্তাবনা “বিবেকিনাং বিবেকায় বিমর্শায় বিমর্শিনাম্। প্রকাশিনাং প্রকাশায় জ্ঞানিনাং জ্ঞানরূপিণে।।” সনাতন বৈদিক ধর্মে গুরুতত্ত্ব এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক প্রকাশ। জ্ঞানসন্ধিৎসুর কাছে জ্ঞানরূপে, তত্ত্ব বিচারকারীর কাছে বিচাররূপে, প্রকাশকারীর কাছে প্রকাশরূপে গুরু প্রতিভাত হন। আর বিবেকীর কাছে স্বয়ং বিবেকরূপে। ভারতীয় অধ্যাত্ম ইতিহাসে প্লাবন এনেছিল শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবধারা। সমকালীন প্রেক্ষাপটে দৃকপাত করলে আমরা দেখতে পাব, সনাতন ধর্মে ও সমাজে তখন পুঞ্জ […]Read More
সারদামণি দেবী, যিনি ‘শ্রীশ্রীমা’ নামেই সমধিক পরিচিতা, বিগত শতকের ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক ইতিহাসে, এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময়ী নক্ষত্র। তাঁর স্নেহপাশে বাঁধা পড়েছে দেশ এবং বিদেশের অগণিত নরনারী। তাঁর শাসনে সন্ন্যাসীরা পেয়েছেন বৈদান্তিক কঠোরতা। তাঁর প্রশ্রয়ে গড়ে উঠেছে শয়ে শয়ে লোককল্যাণমূলক উদ্যোগ। তিনি একদিকে স্নেহশীলা মা, বাৎসল্যের আধার। অন্যদিকে, সন্তানের কল্যাণে তিনিই রুদ্রাণী চণ্ডী। তাঁর অনুধ্যানে অন্তঃপুরের স্ত্রীশক্তি […]Read More
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে আমরা সাধারণত একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবেই চিনি। সেটা অবশ্যই তাঁর সমস্ত পরিচয়ের মধ্যে অন্যতম মহৎ একটি পরিচয়, তা সত্ত্বেও তাঁর অন্যান্য পরিচয়গুলিও বাংলার সমাজ-সংস্কৃতিতে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি একাধারে সুবক্তা, জননেতা, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, এবং সাহিত্যিক হিসেবেও খ্যাত ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের জগতেও এক বিপুল অবদান রেখে গেছেন তিনি। তাঁর এই সমস্ত পরিচয় […]Read More
“এসেছ বন্ধু? তোমার কথাই জাগছিল ভাই প্রাণে,- কাল রাতে মোর মই প’ড়ে গেছে ক্ষেতভরা পাকা ধানে। ধান্যের ঘ্রাণে ভরা অঘ্রানে শুভ নবান্ন আজ, পাড়ায় পাড়ায় উঠে উৎসব, বন্ধ মাঠের কাজ। লেপিয়া আঙিনা দ্যায় আল্পনা ভরা মরাইএর পাশে; লক্ষ্মী বোধ হয় বাণিজ্য ত্যাজি’ এবার নিবসে চাষে। এমন বছরে রাতারাতি মোর পাকা ধানে পড়ে মই! দাওয়ার খুঁটিতে […]Read More
‘উপনিষদ্যতে প্রাপ্যতে ব্রহ্মবিদ্যা’। ব্রহ্মবিদ্যা অর্জিত হয়, এমন শাস্ত্রই উপনিষদ্। উপনিষদ্ বৈদিক সাহিত্যের চতুর্থ বা শেষ স্তম্ভ, একে ‘বেদান্ত’-ও বলা হয়। বেদের জ্ঞানকাণ্ড বা দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে উপনিষদে। উপনিষদের মধ্যে আমরা একেশ্বরবাদ, সর্বেশ্বরবাদ, ব্রহ্মবাদ প্রভৃতি নানান দর্শনের ধারণা পাই। নানান গল্পের মাধ্যমে আমরা জীবনচর্যার কথা শিখি, জীবনে চলার পথে যা আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। বৈদিক কর্মকাণ্ডের […]Read More
পূজয়েজ্জগতাং ধাত্রীং কার্তিকে শুক্লপক্ষকে। দিনোদয়ে চ মধ্যাহ্নে তথা সায়াহ্নকেঽহনি।। কার্তিকমাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজার বিধান শাস্ত্রে দৃষ্ট হয়। যেদিন নবমী তিথি উদিত সূর্যকে স্পর্শ করবে, সেদিনই ত্রিসন্ধ্যায় অর্থাৎ, প্রাত, মধ্যাহ্ন ও সায়ং সন্ধ্যায় দেবীর তিন বার পূজা হবে। যেহেতু এটি তান্ত্রিকী আচার, তাই উক্ত দিনেই ঘট উদ্বাসনের রীতি দৃষ্ট হয়। বলে রাখা ভালো, […]Read More