Subhadeep Saha

Subhadeep Saha is a Kolkata based freelance writer and commentator. He is an associate of The Saborno Sangrahalay - an evolving India studies resource centre in Kolkata.

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ১৩

শরজ্জ্যোৎস্নাশুদ্ধাং শশিয়ুতজটাজূটমকুটাং বরত্রাসত্রাণস্ফটিকঘটিকাপুস্তককরাম্। সকৃন্নত্বা নত্বা কথমিব সতাং সন্নিদধতে মধুক্ষীরদ্রাক্ষামধুরিমধুরীণাঃ ভণিতয়ঃ — সৌন্দর্যলহরী, আদি শংকরাচার্য শ্রীচক্র-রথে দেবী পঞ্চবিংশতি নাম-পারায়ণে দেবগণ কর্তৃক বন্দিতা হলেন। সুন্দরী, চক্রনাথা, সম্রাজ্ঞী, চক্রিণী, চক্রেশ্বরী, মহাদেবী, কামেশী, পরমেশ্বরী, কামরাজপ্রিয়া, কামকোটিগা, চক্রবর্তিনী, মহাবিদ্যা, শিবা, অনঙ্গবল্লভা, সর্বপাটলা, কুলনাথা, আম্নায়-নাথা, সর্বাম্নায়নিবাসিনী ও শৃঙ্গারনায়িকা। যিনি এই নাম পারায়ণ করেন, তিনি অণিমাদি অষ্টসিদ্ধি, পরম সৌভাগ্য ও যশের অধিকারী হন। […]Read More

Sticky

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ১২

শরজ্জ্যোৎস্নাশুদ্ধাং শশিয়ুতজটাজূটমকুটাং বরত্রাসত্রাণস্ফটিকঘটিকাপুস্তককরাম্। সকৃন্নত্বা নত্বা কথমিব সতাং সন্নিদধতে মধুক্ষীরদ্রাক্ষামধুরিমধুরীণাঃ ভণিতয়ঃ আনন্দলহরী, শ্রীশংকরাচার্য নারদ বললেন, “হে দেবী আপনি পরা-প্রকৃতি, দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করতে, ভোগ-মোক্ষ প্রদান করতে ললিতা ত্রিপুরসুন্দরীর রূপ প্রকাশ করেছেন। হে পরমেশ্বরী, ভণ্ডাসুরের প্রকোপে ত্রিজগত আজ অত্যাচারিত। এই দুর্ধর্ষ দৈত্যকে কোনও সুর-নর পরাস্ত করতে পারবে না। ভণ্ড কেবল আপনার হাতেই পরাজিত হবে। হে […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ১১

সুধাসিন্ধোর্মধ্যে সুরবিটপিবাটীপরিবৃতে মণিদ্বীপে নীপোপবনবতি চিন্তামণিগৃহে । শিবাকারে মঞ্চে পরমশিবপর্যঙ্কনিলয়াং ভজন্তি ত্বাং ধন্যাঃ কতিচন চিদানন্দলহরীম্ || আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য ব্রহ্মা-আদি সমস্ত ঋষিগণ দেবীকে দর্শন করতে এলেন। গরুড়বাহনে বিষ্ণু এলেন, বৃষভবাহনে মহেশ্বর এলেন। নারদাদি দেবর্ষিগণ, বিশ্বাবসু আদি গন্ধর্বগণ, অপ্সরাগণ সকলেই দেবীর দর্শনে এলেন ও স্তুতি-নতি করতে লাগলেন। পিতামহ ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মা এক দিব্যনগরী রচনায় নিযুক্ত হলেন। সর্বমন্ত্রাধিষ্ঠাত্রী […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ১০

দেবগণের দশ সহস্র বৎসরের তপস্যার পর দৈত্যকুলের মোহভঙ্গ হল। দৈত্যগণ সৈন্যসামন্ত-সহ হিমালয় পর্বতের দিকে ছুটে আসতে লাগল। তপস্যারত দেবগণ দৈত্যদের আগমনের বার্তা পেয়ে ভীত হলেন। ততক্ষণে দৈত্যসেনা হিমালয়তট বেষ্টন করে ফেলেছে। দেবরাজ ইন্দ্র বললেন, “হে দেবগণ, এই মুহূর্তে আমরা যদি যুদ্ধ করি, তবে এই মদোন্মত্ত দৈত্যসেনার কাছে পরাজয় নিশ্চিত। যদি পলায়ন করি, তবে আমাদের এই […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ৯

ক্বণৎকাঞ্চীদামা করিকলভকুম্ভস্তননতা পরিক্ষীণা মধ্যে পরিণতশরচ্চন্দ্রবদনা। ধনুর্বাণান্পাশং সৃণিমপি দধানা করতলৈঃ পুরস্তাদাস্তাং নঃ পুরমথিতুরাহোপুরুষিকা।। আনন্দলহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের তত্ত্বাবধানে দৈত্যকুলসহ ভণ্ড ষাট হাজার বছর ধরে শিবের অর্চনা ও বৈদিক ক্রিয়াকাণ্ডের মাধ্যমে ক্রমশ নিজেদের সমৃদ্ধতর করে তুলতে লাগল। আচারনিষ্ঠার গুণে ও যজ্ঞপ্রভাবে তারা আরও বলশালী হয়ে উঠল। অন্যদিকে দেবরাজ ইন্দ্র যেন দৈত্যদের তুলনায় ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকলেন।         […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ৮

সুধাসিন্ধোর্মধ্যে সুরবিটপিবাটীপরিবৃতে মণিদ্বীপে নীপোপবনবতি চিন্তামণিগৃহে । শিবাকারে মঞ্চে পরমশিবপর্যঙ্কনিলয়াং ভজন্তি ত্বাং ধন্যাঃ কতিচন চিদানন্দলহরীম্ || আনন্দলহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য তিলোত্তমার সৌন্দর্যে পাগল হয়ে শুণ্ড ও উপশুণ্ড বন্ধুত্ব ও বরের কথা বিস্মৃত হল। তিলোত্তমাকে কে বিবাহ করবে সেই নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ লেগে গেল ও দুজনেই দুজনের হাতে মারা গেল। স্বর্গরাজ্যে আবার শান্তি ফিরে এল। তিলোত্তমা অপ্সরাবর্গে […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ৭

ধনুঃ পৌষ্পং মৌর্বী মধুকরময়ী পঞ্চ বিশিখাঃ বসন্তঃ সামন্তো মলয়মরুদায়োধনরথঃ । তথাপ্যেকঃ সর্বং হিমগিরিসুতে কামপি কৃপাম্ অপাঙ্গাত্তে লব্ধা জগদিদ-মনঙ্গো বিজয়তে || আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য হয়গ্রীব বলতে লাগলেন, “ হে লোপামুদ্রাপতি অগস্ত্য, আমি এখন ভণ্ডাসুর বধের কাহিনি ব্যক্ত করব। শ্রবণ করো।” সতীর দেহত্যাগ পুরাকালে দক্ষ প্রজাপতির কন্যা পরাশক্তি সতীর সঙ্গে মহাদেবের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। বিবাহের পর থেকেই […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ৬

হরিস্ত্বামারাধ্য প্রণতজনসৌভাগ্যজননীং পুরা নারী ভূত্বা পুররিপুমপি ক্ষোভমনয়ৎ। স্মরোঽপি ত্বাং নত্বা রতিনয়নলেহ্যেন বপুষা মুনীনামপ্যন্তঃ প্রভবতি হি মোহায় মহতাম্।। আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য মোহিনী অবতার “দৈত্য মলকাসুর ধন্বন্তরীর হাত থেকে সুবর্ণময় অমৃতকলসটি ছিনিয়ে নিতেই দেবাসুরের মধ্যে প্রচণ্ড কলহ সৃষ্টি হল। ভগবান বিষ্ণু তখন অভিন্নসত্তা ললিতার শরণাপন্ন হলেন। ভগবতীর ভাবনায় ভাবিত হলে ভগবান বিষ্ণু ভগবতীর সারূপ্য লাভ করলেন। শৃঙ্গার-রস-মণ্ডিতা, […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান: ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন – ৫

ত্বদন্যঃ পাণিভ্যামভয়বরদো দৈবতগণঃ ত্বমেকা নৈবাসি প্রকটিতবরাভীত্যভিনয়া । ভয়াৎ ত্রাতুং দাতুং ফলমপি চ বাঞ্ছাসমধিকং শরণ্যে লোকানাং তব হি চরণাবেব নিপুণৌ।। আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য ইন্দ্র দেবগুরু বৃহস্পতির কাছে মদ্যপান ও পরনারীগমন সংক্রান্ত পাপের কথা জানতে চাইলেন। বৃহস্পতি বললেন, “পৈষ্টিক, তালজ, কৈর, মাধ্বী, গুড়সম্ভব ইত্যাদি নানা প্রকারের সুরা রয়েছে। বৃথাপান অর্থাৎ দেবতাকে অর্পণ না করে আসব পান করা […]Read More

ললিতা-উপাখ্যান—ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন-৪

কিং বর্ণয়াম তব রূপং-অচিন্ত্যং-এতৎ, কিঞ্চাতি বীর্যং-অসুর-ক্ষয়কারি ভূরি। কিঞ্চাহবেষু চরিতানি তবাতি যানি সর্বেষু দেব্যসুর-দেবগণাদিকেষু।। শক্রাদিকৃত দেবীস্তুতি, শ্রীশ্রীচণ্ডী দেবরাজ ইন্দ্রের প্রতি দুর্বাসার অভিশাপ মহামায়া অশেষ মায়া থেকে স্বর্গের দেবগণেরও নিষ্কৃতি নেই। স্বর্গরাজ্যের অতুল ঐশ্বর্যের অহংকারে বারংবার তাঁরা নিজেকে ত্রিজগতের অধিপতি ভেবে বসেন। স্বর্গও যে মহামায়ারই মায়া, তা তাঁরা বোঝেন না। মোহান্ধতার বশে নানাবিধ ভুল করে বসেন। তখনই […]Read More