শরজ্জ্যোৎস্নাশুদ্ধাং শশিয়ুতজটাজূটমকুটাং বরত্রাসত্রাণস্ফটিকঘটিকাপুস্তককরাম্। সকৃন্নত্বা নত্বা কথমিব সতাং সন্নিদধতে মধুক্ষীরদ্রাক্ষামধুরিমধুরীণাঃ ভণিতয়ঃ — সৌন্দর্যলহরী, আদি শংকরাচার্য শ্রীচক্র-রথে দেবী পঞ্চবিংশতি নাম-পারায়ণে দেবগণ কর্তৃক বন্দিতা হলেন। সুন্দরী, চক্রনাথা, সম্রাজ্ঞী, চক্রিণী, চক্রেশ্বরী, মহাদেবী, কামেশী, পরমেশ্বরী, কামরাজপ্রিয়া, কামকোটিগা, চক্রবর্তিনী, মহাবিদ্যা, শিবা, অনঙ্গবল্লভা, সর্বপাটলা, কুলনাথা, আম্নায়-নাথা, সর্বাম্নায়নিবাসিনী ও শৃঙ্গারনায়িকা। যিনি এই নাম পারায়ণ করেন, তিনি অণিমাদি অষ্টসিদ্ধি, পরম সৌভাগ্য ও যশের অধিকারী হন। […]Read More
শরজ্জ্যোৎস্নাশুদ্ধাং শশিয়ুতজটাজূটমকুটাং বরত্রাসত্রাণস্ফটিকঘটিকাপুস্তককরাম্। সকৃন্নত্বা নত্বা কথমিব সতাং সন্নিদধতে মধুক্ষীরদ্রাক্ষামধুরিমধুরীণাঃ ভণিতয়ঃ আনন্দলহরী, শ্রীশংকরাচার্য নারদ বললেন, “হে দেবী আপনি পরা-প্রকৃতি, দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করতে, ভোগ-মোক্ষ প্রদান করতে ললিতা ত্রিপুরসুন্দরীর রূপ প্রকাশ করেছেন। হে পরমেশ্বরী, ভণ্ডাসুরের প্রকোপে ত্রিজগত আজ অত্যাচারিত। এই দুর্ধর্ষ দৈত্যকে কোনও সুর-নর পরাস্ত করতে পারবে না। ভণ্ড কেবল আপনার হাতেই পরাজিত হবে। হে […]Read More
[কবিগুরুর চরণে সহস্র সহস্র ক্ষমা প্রার্থনা ক’রে এই লালিকা বা প্যারডী প্রস্তুত করা গেল। আমার বিশ্বাস, গুরুদেব অপরাধ নেবেন না, তাঁর সাধের বাংলাদেশটি ছারেখারে যায় দেখে তিনি তাঁর এক অতি দুর্বল উত্তরসূরি বাঙালী কবির এহেন ধৃষ্টতা মার্জনা করবেন। বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ – উপস্থিত পদ্যটি নিছকই এক কল্পনাভিত্তিক রম্যরচনা। এতে বর্ণিত বিভিন্ন চরিত্র, সংস্থা, নাম, কিংবা বিষয়বস্তুর […]Read More
সুধাসিন্ধোর্মধ্যে সুরবিটপিবাটীপরিবৃতে মণিদ্বীপে নীপোপবনবতি চিন্তামণিগৃহে । শিবাকারে মঞ্চে পরমশিবপর্যঙ্কনিলয়াং ভজন্তি ত্বাং ধন্যাঃ কতিচন চিদানন্দলহরীম্ || আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য ব্রহ্মা-আদি সমস্ত ঋষিগণ দেবীকে দর্শন করতে এলেন। গরুড়বাহনে বিষ্ণু এলেন, বৃষভবাহনে মহেশ্বর এলেন। নারদাদি দেবর্ষিগণ, বিশ্বাবসু আদি গন্ধর্বগণ, অপ্সরাগণ সকলেই দেবীর দর্শনে এলেন ও স্তুতি-নতি করতে লাগলেন। পিতামহ ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মা এক দিব্যনগরী রচনায় নিযুক্ত হলেন। সর্বমন্ত্রাধিষ্ঠাত্রী […]Read More
দেবগণের দশ সহস্র বৎসরের তপস্যার পর দৈত্যকুলের মোহভঙ্গ হল। দৈত্যগণ সৈন্যসামন্ত-সহ হিমালয় পর্বতের দিকে ছুটে আসতে লাগল। তপস্যারত দেবগণ দৈত্যদের আগমনের বার্তা পেয়ে ভীত হলেন। ততক্ষণে দৈত্যসেনা হিমালয়তট বেষ্টন করে ফেলেছে। দেবরাজ ইন্দ্র বললেন, “হে দেবগণ, এই মুহূর্তে আমরা যদি যুদ্ধ করি, তবে এই মদোন্মত্ত দৈত্যসেনার কাছে পরাজয় নিশ্চিত। যদি পলায়ন করি, তবে আমাদের এই […]Read More
ছিল কার মলিনচরণত্রাণ হয়ে, ততোধিক মলিন অনামা জুতোজোড়া – ধরমের কল বুঝি নড়েছে বাতাসে, তাই উড়ে এল তোদের দিকে রে মুখপোড়া! দিনে-ডাকাতির দল দোহাই পেড়েছে মায়ের মাটির আর মানুষের নামে, দ্যাখ্ দেখি ঘুষখোর কীরকম লাগে – সেই মা যখন চটি ছুঁড়ে মারে ঐ গালে! Note: For the audio version […]Read More
ক্বণৎকাঞ্চীদামা করিকলভকুম্ভস্তননতা পরিক্ষীণা মধ্যে পরিণতশরচ্চন্দ্রবদনা। ধনুর্বাণান্পাশং সৃণিমপি দধানা করতলৈঃ পুরস্তাদাস্তাং নঃ পুরমথিতুরাহোপুরুষিকা।। আনন্দলহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের তত্ত্বাবধানে দৈত্যকুলসহ ভণ্ড ষাট হাজার বছর ধরে শিবের অর্চনা ও বৈদিক ক্রিয়াকাণ্ডের মাধ্যমে ক্রমশ নিজেদের সমৃদ্ধতর করে তুলতে লাগল। আচারনিষ্ঠার গুণে ও যজ্ঞপ্রভাবে তারা আরও বলশালী হয়ে উঠল। অন্যদিকে দেবরাজ ইন্দ্র যেন দৈত্যদের তুলনায় ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকলেন। […]Read More
সুধাসিন্ধোর্মধ্যে সুরবিটপিবাটীপরিবৃতে মণিদ্বীপে নীপোপবনবতি চিন্তামণিগৃহে । শিবাকারে মঞ্চে পরমশিবপর্যঙ্কনিলয়াং ভজন্তি ত্বাং ধন্যাঃ কতিচন চিদানন্দলহরীম্ || আনন্দলহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য তিলোত্তমার সৌন্দর্যে পাগল হয়ে শুণ্ড ও উপশুণ্ড বন্ধুত্ব ও বরের কথা বিস্মৃত হল। তিলোত্তমাকে কে বিবাহ করবে সেই নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ লেগে গেল ও দুজনেই দুজনের হাতে মারা গেল। স্বর্গরাজ্যে আবার শান্তি ফিরে এল। তিলোত্তমা অপ্সরাবর্গে […]Read More
ধনুঃ পৌষ্পং মৌর্বী মধুকরময়ী পঞ্চ বিশিখাঃ বসন্তঃ সামন্তো মলয়মরুদায়োধনরথঃ । তথাপ্যেকঃ সর্বং হিমগিরিসুতে কামপি কৃপাম্ অপাঙ্গাত্তে লব্ধা জগদিদ-মনঙ্গো বিজয়তে || আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য হয়গ্রীব বলতে লাগলেন, “ হে লোপামুদ্রাপতি অগস্ত্য, আমি এখন ভণ্ডাসুর বধের কাহিনি ব্যক্ত করব। শ্রবণ করো।” সতীর দেহত্যাগ পুরাকালে দক্ষ প্রজাপতির কন্যা পরাশক্তি সতীর সঙ্গে মহাদেবের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। বিবাহের পর থেকেই […]Read More
হরিস্ত্বামারাধ্য প্রণতজনসৌভাগ্যজননীং পুরা নারী ভূত্বা পুররিপুমপি ক্ষোভমনয়ৎ। স্মরোঽপি ত্বাং নত্বা রতিনয়নলেহ্যেন বপুষা মুনীনামপ্যন্তঃ প্রভবতি হি মোহায় মহতাম্।। আনন্দ লহরী, শ্রীশঙ্করাচার্য মোহিনী অবতার “দৈত্য মলকাসুর ধন্বন্তরীর হাত থেকে সুবর্ণময় অমৃতকলসটি ছিনিয়ে নিতেই দেবাসুরের মধ্যে প্রচণ্ড কলহ সৃষ্টি হল। ভগবান বিষ্ণু তখন অভিন্নসত্তা ললিতার শরণাপন্ন হলেন। ভগবতীর ভাবনায় ভাবিত হলে ভগবান বিষ্ণু ভগবতীর সারূপ্য লাভ করলেন। শৃঙ্গার-রস-মণ্ডিতা, […]Read More