ললিতা-উপাখ্যান—ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর মাহাত্ম্যকথন-১
ভূমিকা
‘ললিতা’ কে?
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবানাঞ্চ প্রসূতে করুণাময়ি।
জড়ানাং জ্ঞানদে দেবি ত্রাহি মাং শরণাগতম্।।
বৃহন্নীলতন্ত্র
তনোতি ত্রায়তে ইতি তন্ত্রঃ— কলিযুগে ত্রাণের অন্যতম উপায় তন্ত্রমার্গ। শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণবাদি সকল মতের উপাসনাতেই তন্ত্রশাস্ত্রের প্রভাব রয়েছে। তন্ত্র কেবল মদ্য-মাংস বা কেবল মারণ-উচাটন, সাধারণে এই ভুল ধারণা অতি মন্দ প্রভাব বিস্তার করেছে। তন্ত্র একটি বেদগ্রাহ্য দর্শন যা সামূহিক লোককল্যাণের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তন্ত্রদর্শনকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে সনাতনধর্মের একমাত্র আলোকশিখা মনে করি। অধিকারীভেদে ব্রহ্মবিদ্যার উপাসনার দ্বার সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকে শাক্তদর্শনকে মানুষের মধ্যে প্রচার করা হয়নি। কিন্তু শাক্তদর্শন যে অতি প্রাচীন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, ইতিহাস ঘাঁটলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। কিন্তু এই দর্শনকে সাধারণের থেকে দূরে রাখা হয়েছে, তার বদলে বেশি প্রচারিত হয়েছে শৈবদর্শন। এটি কি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মনস্তত্ত্বের প্রতিফলন, জানা নেই। তবে তন্ত্রমার্গের পথে প্রারম্ভিকভাবে বৈধীভক্তির প্রাবল্য, আচার-অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা, অধিকারী-ভেদ, সাধকের পতনের সম্ভাবনা এই সকল কারণেও একে গুপ্ত রাখার প্রচেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। কামাখ্যাতন্ত্র ও কুলার্ণবে ষড়দর্শনের উপর তন্ত্রমার্গ বা শাক্তদর্শনের স্থান দেওয়া হয়েছে। আর একটি উপলব্ধিও আমার হয়েছে, ষড়দর্শনের তত্ত্ববিচার এবং বেদাগমের মধ্যে এমনভাবে শাক্তদর্শনের তত্ত্ব দ্রবীভূত হয়ে রয়েছে, যে তা থেকে কোনও দর্শনকেই পৃথক করা যায় না। যাইহোক, এই আলোচনা পৃথক নিবন্ধের দাবি রাখে, আপাত বক্তব্য এই যে, তন্ত্রের বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানের থেকেও তার মধ্যে নিহিত দর্শন, আমাদের আরও বেশি করে আলোচনা ও চর্চা করা উচিত। পরমতসহিষ্ণুতা, অদ্বৈততত্ত্ব, প্রবৃত্তি-নিবৃত্তির সামঞ্জস্য, ভোগ-মোক্ষের সামঞ্জস্য, সাধ্য-সাধকের প্রেমভক্তি ইত্যাদি এই দর্শনেই নিহিত রয়েছে। কেরল, কাশ্মীর ও গৌড় এই তিনটি প্রধান মতে শাক্তদর্শনকে ভাগ করা হয়েছে।
তন্ত্রের নানা পরম্পরার মধ্যে প্রকট দুটি ধারা হল—কালীকুল ও শ্রীকুল। কালীকুল উভয় বঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ইত্যাদি স্থানে ব্যাপ্ত আর শ্রীকুল দাক্ষিণাত্যে প্রসারিত। কালীকুলের মূল আরাধ্যা কালী। কালীকেই আদ্যাশক্তিরূপে স্বীকার করা হয়, তিনি দশমহাবিদ্যারও আদিবিদ্যা বা প্রথম বিদ্যা। যে মূল শক্তি থেকে ভগবতীর অনেক রূপ প্রকাশিত হয়, তিনিই আদ্যাশক্তি। আবার শ্রীকুলে এবং নানা তন্ত্রগ্রন্থ অনুসারে ভগবতী ললিতা বা ষোড়শী বা ত্রিপুরাসুন্দরী হলেন আদ্যাশক্তি। ইনি দশমহাবিদ্যার তৃতীয় বিদ্যা, যদিও শ্রীকুলে ইনি শিবশক্তির সম্মিলিত প্রকাশ। বামকেশ্বর তন্ত্রেও এঁকে আদ্যা, পরমা ও ত্রিলোকের উৎপত্তিকারিণী বলা হয়েছে। আচার্য ভাস্কররায় তাঁর ‘সৌভাগ্যভাস্কর’ গ্রন্থেও বলেছেন, ললিতা ত্রিপুরসুন্দরী পরশিব থেকে অভিন্ন, শুদ্ধসত্ত্বগুণের ঘনীভূত মূর্তি। সেজন্য শ্রীকুলের অন্তর্গত ত্রিপুরার পূজায় তাঁর পুরুষমূর্তি বা ভৈরবের আলাদা পূজা হয় না। ললিতার ভৈরব কামেশ্বর, ললিতার অপর নাম কামেশ্বরী। অগস্ত্য, দুর্বাসা, দত্তাত্রেয়, পরশুরাম, লোপামুদ্রা, প্রমুখ প্রাচীন শ্রীবিদ্যা-উপাসকদের নাম, ঋষি-পরম্পরা এবং রচনা আমরা পাই। আচার্য শংকরের প্রবর্তিত চার মঠে এবং কাঞ্চীপীঠে শ্রীযন্ত্র ও শ্রীবিদ্যা উপাসনার অনবিচ্ছিন্ন পরম্পরা দেখা যায়।
সিন্দুরারুণ-বিগ্রহাং ত্রি-নয়নাং মাণিক্যমৌলি-স্ফুরৎ-
তারানায়ক-শেখরাং স্মিতমুখীং আপীন-বক্ষোরুহাম্।
পাণিভ্যাং অলিপূর্ণ-রত্ন-চষকং রক্তোৎপলং বিভ্রতীং
সৌম্যাং রত্ন-ঘটস্থ-রক্ত-চরণাং ধ্যায়েৎ-পরাং-অম্বিকাম্।।
—আমি সেই পরাশক্তির ধ্যান করি, যাঁর সিঁদুর-রাঙা গাত্রবর্ণ, যিনি ত্রিনয়নী, যাঁর অমলবদনে স্মিত হাসি, যাঁর শিরে শোভা পায় মাণিক্য-মুকুট আর মুকুটের শিরে দোলে একফালি চাঁদ। যাঁর এক হাতে সুধাকলস, অন্য হাতে রক্তপদ্ম, চরণদুটি রত্নকলসের উপর স্থাপিত। আমি সেই সৌম্যা পরাম্বিকার ধ্যান করি।
ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে বর্ণিত ললিতার এই ধ্যানটিতে বঙ্গে পূজিত দ্বিভুজা লক্ষ্মীর মূর্তিকল্পের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। পার্থক্য মাত্র এই, ললিতা রক্তবর্ণা, লক্ষ্মী গৌরবর্ণা। ললিতাকেও ‘শ্রী’, ‘শ্রীমাতা’, ‘শ্রীবিদ্যা’ নামে পূজা করা হয়। ‘শ্রীচক্র’-যন্ত্র তান্ত্রিক পরম্পরায় সর্বোত্তম সুন্দর একটি জ্যামিতিক মণ্ডল, যেখানে সহচর-সহচরী-সহ ভগবতী ললিতা অধিষ্ঠান করেন, এ বিষয়ে পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব। এবার দেখে নেওয়া যাক, দেবীর সর্বাধিক প্রচলিত মূল ধ্যানমূর্তির বর্ণনা।
অরুণাং করুণা-তরঙ্গিতাক্ষীং ধৃত-পাশাঙ্কুশ-পুষ্পবাণ-চাপম্।
অণিমাদিভিরাবৃতাং ময়ূখৈ-রহম-ইত্যেব বিভাবয়ে ভবানীম্।।
—তাঁর গায়ের রঙ ঊষা-সূর্যের আভাযুক্ত। তাঁর নয়নযুগে করুণার তরঙ্গ বয়ে চলেছে। তিনি চার হাতে, পাশ, অঙ্কুশ, পুষ্পবাণ এবং ধনুক ধারণ করে আছেন। তাঁর চারিপার্শ্বে অণিমাদি অষ্টসিদ্ধি আবৃত হয়ে রয়েছে। আমি এহেন ভবানীর ভাবনায় ভেসে রই।
কত সুন্দর প্রতিচ্ছবি! নারদ পঞ্চরাত্রে দেবী ললিতার একটি কাহিনি রয়েছে। নারদপঞ্চরাত্রের বর্তমান প্রচলিত ‘জ্ঞানামৃতসার-সংহিতা’ গ্রন্থে এই কাহিনি পাওয়া যায় না, কিন্তু বসুমতী প্রকাশিত ‘প্রাণতোষণী তন্ত্র’ গ্রন্থে পঞ্চরাত্রেরই উল্লেখ রয়েছে। কাহিনিটি এমন, কৈলাস পর্বতে শিব একদিন মা-কে ‘কালী’ বলে ডেকেছেন। শুনে মায়ের মনে খুব আঘাত লেগেছে। তিনি তখন সুমেরু পর্বতে গিয়ে তপস্যায় বসেছেন। তপস্যায় তাঁর অনুপম লাবণ্য ফুটে উঠেছে, তিনি হয়ে উঠেছেন ত্রিজগতের সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী, তাই তাঁর নাম ত্রিপুরসুন্দরী। জলের ছায়ায় যখন নিজের মুখ দেখছেন তিনি, তখন নিজেকেই চিনতে পারছেন না, শিব তখন বলছেন, “দেখো, তোমার হৃদয়ে আমারই প্রতিচ্ছবি রয়েছে। তুমিই গৌরী, তুমিই কালী, তুমিই ষোড়শী ত্রিপুরসুন্দরী।”
ততঃ পদ্মনিভাং দেবীং বালার্ক-কিরণোজ্জ্বলাম্। জবাকুসুম-সঙ্কাশাং দাড়িমী-কুসুমোপমাম্।।
পদ্মরাগ-প্রতীকাশাং কুঙ্কুমারুণ-সন্নিভাম্। স্ফুরন্মুকুট-মাণিক্য-কিঙ্কিণীজাল-মণ্ডিতাম্।।
কালালিকুল-সঙ্কাশ-কুটিলালক-পল্লবাম্। প্রত্যগ্রারুণ-সঙ্কাশ-বদনাম্ভোজমণ্ডলাম্।।
কিঞ্চিদর্ধেন্দু-কুটিল-ললাট-মৃদুপট্টিকাম্। পিনাকি-ধনুরাকার-ভ্রুলতাং পরমেশ্বরীম্।।
আনন্দমুদিতোল্লাস-লীলান্দোলিত-লোচনাম্। স্ফুরন্ময়ূখ-সঙ্কাশ-বিলসদ্ধেমকুণ্ডলাম্।।
সুগণ্ডমণ্ডলাভোগ-জিতেন্দ্বমৃতমণ্ডলাম্। বিশ্বকর্ম-বিনির্মিত-সূত্র-সুস্পষ্ট-নাসিকাং।।
তাম্র-বিদ্রুম-বিম্বাভরক্তোষ্ঠীমমৃতোপমাম্। স্মিত-মাধুর্য-বিজিত-মাধুর্য-রসসাগরাম্।
অনৌপম্য-গুণোপেত-চিবুকোদ্দেশ-শোভিতাম্। কম্বুগ্রীবাং মহাঁদেবীং মৃণাল-ললিতৈর্ভুজৈঃ।।
রক্তোৎপল-দলাকার-সুকুমার-করাম্বুজাম্। রক্তাম্বুজ-নখজ্যোতির্ব্বিতানিত-নভস্তলাম্ ।
মুক্তাহার-লতোপেত-সমুন্নত-পয়োধরাম্। ত্রিবলীবলয়াযুক্ত-মধ্যদেশ-সুশোভিতাম্।।
লাবণ্য-সরিদাবর্তাকার-নাভি-বিভূষিতাম্। অনর্ঘ-রত্ন-ঘটিত-কাঞ্চীবুত-নিতম্বিনীং।।
নিতম্ব-বিম্ব-দ্বিরদ-রোমরাজি-বরাঙ্কুশাম্। কদলী-ললিত-স্তম্ভ-সুকুমারো-রুমীশ্বরীম্।।
লাবণ্য-কুসুমাকার-জানুমণ্ডল-বন্ধুরাম্। লাবণ্য-কদলী-তুল্য-জংঘাযুগল-মণ্ডিতাম্।।
গূঢ়গুল্ফ-পদদ্বন্দ্ব-প্রপদাজিত-কচ্ছপাম্। তনু-দীর্ঘাঙ্গুলি-স্বচ্ছ-নখরাজি-বিরাজিতাম্।
ব্রহ্মবিষ্ণু-শিরোরত্ন-নিঘৃষ্ট-চরণাম্বুজাম্। শীতাংশু-শত-সঙ্কাশ-কান্তি-সম্তানহাসিনীম্।
লৌহিত্যজিত-সিন্দূর-জবা-দাড়িম-রূপিণীম্। রক্তবস্ত্র-পরিধানাং পাশাঙ্কুশ-করোদ্যতাম্।।
রক্তপদ্ম-নিবিষ্টান্তু রক্তাভরণ-ভূষিতাম্। চতুর্ভুজাং ত্রিনেত্রান্তু পঞ্চবাণ-ধনুর্ধরাম্।
কর্পূর-শকলোন্মিশ্র-তাম্বুল-পুরিতাননাম্। মহামৃগ-মদোদ্দাম-কুঙ্কুমারুণ-বিগ্রহাম্।।
সর্বশৃঙ্গার-বেশাঢ্যাং সর্বাভরণভূষিতাম্। জগদাহ্লাদ-জননীং জগদ্রঞ্জনকারিনীম্।।
জগদাকর্ষণকরীং জগৎকারণরূপিণীম্। সর্বমন্ত্রময়ীং দেবীং সর্বসৌভাগ্যসুন্দরীম্।।
সর্বলক্ষ্মীময়ীং নিত্যাং সর্বশক্তিময়ীং শিবাম্। এবং রূপাত্মানং ধ্যাত্বা মানসৈঃ সংপূজয়েৎ।।
যোগিনীহৃদয়, তন্ত্রসার, সিদ্ধান্ত সংগ্রহ এবং মহাকাল সংহিতায় দেবীর উপরোক্ত ধ্যানটি সংকলিত হয়েছে। ধ্যানমন্ত্রটি কাব্যসৌন্দর্যে, উপমার ব্যবহারে যেমন অতুলনীয়, তেমনই ধ্যেয় রূপের সৌন্দর্য বর্ণনায় অদ্বিতীয়। বলা হচ্ছে, পদ্মফুলের মতো দেবী ললিতা প্রভাতসূর্যের সমান উজ্জ্বলা ও কোমল। তাঁর গায়ের রঙ জবাফুল, ডালিমফুল, পদ্মরাগমণি বা প্রবাল আর কুঙ্কুম বা সিঁদুরের মতো লাল। মাথায় মুকুট, অঙ্গে কিঙ্কিণী জাতীয় আভরণ শোভা পাচ্ছে। দেবীর এলোকেশ যেন কোটি কোটি কালো ভ্রমরের একত্র বিচরণ। মুখখানি যেন সদ্য-ওঠা সূর্যের মতো। ললাটে আধখানা বাঁকা চাঁদ আটকে আছে। তাঁর ভ্রু-যুগল যেন ধনুক, চোখদুটি আনন্দে আন্দোলিত হচ্ছে। তাঁর কানে সোনার কুণ্ডল। কপোল যেন চাঁদের অমৃতমণ্ডলকে পরাস্ত করেছে। তাঁর উন্নত, তীক্ষ্ন নাসিকা বিশ্বকর্মার উত্তম নির্মাণ। দেবীর ঠোঁট তামা, বিম্বফল আর প্রবালের মতো লাল। দেবীর গ্রীবা শঙ্খের মতো, চিবুক অতিসুন্দর, তাঁর সুন্দর হাসির মাধুর্য সাগরের সমান। তাঁর বাহু মৃণালদলের মতো লালিত্যময়, নখের দ্যুতি যেন উজ্জ্বল নক্ষত্রমণ্ডল। তাঁর উন্নত বক্ষে লতার মতো মুক্তাহার দুলছে। উদরে বলয়াকার তিনটি বিভাজিকা রচিত হয়েছে, আর এই লাবণ্যসাগরের আবর্তবিন্দু হচ্ছে তাঁর নাভিদেশ। তাঁর জানু আর জংঘাদেশ যেন কুসুম আর কদলীর মতো লাবণ্যময়। তাঁর পদযুগলের অগ্রভাগ কচ্ছপের থেকে সুন্দর, তাতে অতিসুন্দর দীর্ঘ আঙুল আর স্বচ্ছ নখরাজি, সেই চরণ শিরে ধারণ করেছেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু। দেবীর কান্তিতে শত চন্দ্রের দীপ্তিও মলিন হয়ে যায়। দেবীর ললাটে লাল সিঁদুর, পরণে রক্তবস্ত্র, দেবীর আসনও রক্তপদ্ম। দেবী ত্রিনেত্রা, চারি হাতে পাশ-অঙ্কুশ-পঞ্চবাণ-ধনুক ধারণ করেছেন। তাঁর দেহে কস্তুরী-কুঙ্কুমের সুবাস, মুখে কর্পূরজড়িত তাম্বুল, তিনি সকল আভরণে ভূষিতা, শৃঙ্গারবেশে সুসজ্জিতা। তিনি জগতজননী, জগতের কারণস্বরূপা, জগদাহ্লাদ ও জগদ্রঞ্জনের কারণ তিনিই। সর্বশক্তিময়ী, সর্বমন্ত্রময়ী, সর্বলক্ষ্মীময়ী, সর্বসৌভাগ্যদায়িনী, নিত্যা, আমি অন্তরে এইরূপে সুন্দরী দেবীর ধ্যান করি, মানস-উপচারে পূজা করি।