প্রস্তাবনা “বিবেকিনাং বিবেকায় বিমর্শায় বিমর্শিনাম্। প্রকাশিনাং প্রকাশায় জ্ঞানিনাং জ্ঞানরূপিণে।।” সনাতন বৈদিক ধর্মে গুরুতত্ত্ব এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক প্রকাশ। জ্ঞানসন্ধিৎসুর কাছে জ্ঞানরূপে, তত্ত্ব বিচারকারীর কাছে বিচাররূপে, প্রকাশকারীর কাছে প্রকাশরূপে গুরু প্রতিভাত হন। আর বিবেকীর কাছে স্বয়ং বিবেকরূপে। ভারতীয় অধ্যাত্ম ইতিহাসে প্লাবন এনেছিল শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবধারা। সমকালীন প্রেক্ষাপটে দৃকপাত করলে আমরা দেখতে পাব, সনাতন ধর্মে ও সমাজে তখন পুঞ্জ […]Read More
সারদামণি দেবী, যিনি ‘শ্রীশ্রীমা’ নামেই সমধিক পরিচিতা, বিগত শতকের ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক ইতিহাসে, এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময়ী নক্ষত্র। তাঁর স্নেহপাশে বাঁধা পড়েছে দেশ এবং বিদেশের অগণিত নরনারী। তাঁর শাসনে সন্ন্যাসীরা পেয়েছেন বৈদান্তিক কঠোরতা। তাঁর প্রশ্রয়ে গড়ে উঠেছে শয়ে শয়ে লোককল্যাণমূলক উদ্যোগ। তিনি একদিকে স্নেহশীলা মা, বাৎসল্যের আধার। অন্যদিকে, সন্তানের কল্যাণে তিনিই রুদ্রাণী চণ্ডী। তাঁর অনুধ্যানে অন্তঃপুরের স্ত্রীশক্তি […]Read More
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে আমরা সাধারণত একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবেই চিনি। সেটা অবশ্যই তাঁর সমস্ত পরিচয়ের মধ্যে অন্যতম মহৎ একটি পরিচয়, তা সত্ত্বেও তাঁর অন্যান্য পরিচয়গুলিও বাংলার সমাজ-সংস্কৃতিতে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি একাধারে সুবক্তা, জননেতা, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, এবং সাহিত্যিক হিসেবেও খ্যাত ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের জগতেও এক বিপুল অবদান রেখে গেছেন তিনি। তাঁর এই সমস্ত পরিচয় […]Read More
“এসেছ বন্ধু? তোমার কথাই জাগছিল ভাই প্রাণে,- কাল রাতে মোর মই প’ড়ে গেছে ক্ষেতভরা পাকা ধানে। ধান্যের ঘ্রাণে ভরা অঘ্রানে শুভ নবান্ন আজ, পাড়ায় পাড়ায় উঠে উৎসব, বন্ধ মাঠের কাজ। লেপিয়া আঙিনা দ্যায় আল্পনা ভরা মরাইএর পাশে; লক্ষ্মী বোধ হয় বাণিজ্য ত্যাজি’ এবার নিবসে চাষে। এমন বছরে রাতারাতি মোর পাকা ধানে পড়ে মই! দাওয়ার খুঁটিতে […]Read More
“Tumi āmār ontostholer khawbor jāno”: a Song of Self-Analysing Bhakti
Translated from the original Bangla by Sreejit Datta [Translator’s note: Rajanikanta Sen (1865 – 1910) was one of the five finest poet-songwriters that Bengal has ever produced (the others being Rabindranath Tagore, Dwijendra Lal Roy, Atul Prasad Sen, and Kazi Nazrul Islam) during the golden age of Her cultural rejuvenation in the late nineteenth and […]Read More
গুরবে গৌরচন্দ্রায় রাধিকায়ৈ তদালয়ে। কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদ্ভক্তায় নমো নমঃ।। বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ। পতিতানাং পাবনেভ্যো বৈষ্ণবেভ্যো নমো নমঃ।। শ্রীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্ধের ঊনত্রিংশতি থেকে ত্রয়স্ত্রিংশতি অধ্যায়, সর্বমোট পাঁচটি অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা। মনে রাখতে হবে, শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের এই অপ্রাকৃত কাহিনি বর্ণনা করছেন ব্রহ্মজ্ঞানী শুকদেব, এবং শ্রবণ করছেন মৃত্যুপথযাত্রী মহারাজা পরীক্ষিত, ব্রহ্মশাপে যিনি সাতদিনের মধ্যে […]Read More
Bipulo tɑːroṅgo re (To listen to the original Bangla song, click here) O Mighty Ripple, O Ripple Gargantuan! O’erwhelming the vast skies, deluging the past and the future, Radiant with light, vigorous in life – what Ripple of Joy is this! By It the sun, the moon, and the stars are impelled to oscillate, By […]Read More
‘উপনিষদ্যতে প্রাপ্যতে ব্রহ্মবিদ্যা’। ব্রহ্মবিদ্যা অর্জিত হয়, এমন শাস্ত্রই উপনিষদ্। উপনিষদ্ বৈদিক সাহিত্যের চতুর্থ বা শেষ স্তম্ভ, একে ‘বেদান্ত’-ও বলা হয়। বেদের জ্ঞানকাণ্ড বা দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে উপনিষদে। উপনিষদের মধ্যে আমরা একেশ্বরবাদ, সর্বেশ্বরবাদ, ব্রহ্মবাদ প্রভৃতি নানান দর্শনের ধারণা পাই। নানান গল্পের মাধ্যমে আমরা জীবনচর্যার কথা শিখি, জীবনে চলার পথে যা আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। বৈদিক কর্মকাণ্ডের […]Read More
পূজয়েজ্জগতাং ধাত্রীং কার্তিকে শুক্লপক্ষকে। দিনোদয়ে চ মধ্যাহ্নে তথা সায়াহ্নকেঽহনি।। কার্তিকমাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজার বিধান শাস্ত্রে দৃষ্ট হয়। যেদিন নবমী তিথি উদিত সূর্যকে স্পর্শ করবে, সেদিনই ত্রিসন্ধ্যায় অর্থাৎ, প্রাত, মধ্যাহ্ন ও সায়ং সন্ধ্যায় দেবীর তিন বার পূজা হবে। যেহেতু এটি তান্ত্রিকী আচার, তাই উক্ত দিনেই ঘট উদ্বাসনের রীতি দৃষ্ট হয়। বলে রাখা ভালো, […]Read More
“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যম-দুয়ারে পড়ল কাঁটা। যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।” কার্তিকের শুক্ল দ্বিতীয়া তিথিতে বাংলা তথা ভারতের ঘরে ঘরে পালিত হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা। বোনেরা ভাইয়ের কপালে চন্দন বা দইয়ের ফোঁটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করায়। ধান-দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়। উলু, শঙ্খ প্রভৃতি মঙ্গলধ্বনিতে মুখরিত হয়ে থাকে ঘর। উপহার দেওয়া-নেওয়া […]Read More