নবদ্বীপের এই প্রত্যন্ত পল্লীতে রাত যেন বড়ো তাড়াতাড়ি শেষ হয়। হৈমন্তী ভোর বড়ো মায়া জড়িয়ে রাখে পল্লীর পরতে পরতে। এমন এক নিষাদ ভোরে হঠাৎই মেঘের ভৈরবে কোমল রেখাবের গাম্ভীর্য ধরা দিল। সোনালী রোদ নেই, আকাশ জুড়ে কেবল অকাল কালো মেঘ। গতরাতের পুজো শেষ হতে বেশ দেরি হয়েছে। মাধ্বীর নেশা কাটতে না কাটতেই ব্রাহ্মমূহুর্ত পেরিয়ে সকাল […]Read More
Translated from the original Bangla version by Sreejit Datta Tomār mohɑːno rūpe ke rɑːy bhule (To listen to the original Bangla song, click here) Who remains mesmerised forever by Your enchanting form? I know not what death dances at those feet with such aplomb! Slashing Sharad’s robe of light, what flash flares up there? Have […]Read More
নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ কো জাগর্তি মহীতলে। জগৎ প্রক্রমতে তস্যাং লোকচেষ্টাবলোকিনী।। নারিকেলোদকং পীত্বা অক্ষৈর্জাগরণং নিশি। তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি কো জাগর্তি মহীতলে।। শূন্য ঘরে জোড়া পায়ের আলপনা। কেউ কোথাও নেই তাঁর, তবু লক্ষ্মীপুজোটুকু রয়েছে। অশক্ত শরীরেও কত আয়োজন, ‘দ্যাশের পূজা’ বলে কথা…। পূর্ণিমার জ্যোৎস্নাপথ বেয়ে ঘরে নেমে এল একটি ফুটফুটে চাঁদের কণা মেয়ে,—“কে জেগে আছ?” —“আমি…। প্রসাদ […]Read More
কুমারীং কমলারুঢ়াং ত্রিনেত্রাং চন্দ্রশেখরাম্ তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভাং নানালংকারভূষিতাম্। রক্তাম্বরপরিধানাং রক্তমাল্যানুলেপনাম্ বামেনাভয়দাং ধ্যায়েদ্দক্ষিণেন বরপ্রদাম্।। তিনি কুমারী, গলিত সোনার মতো তাঁর গায়ের রঙ, ত্রিনেত্রা, তাঁর কিরীটে চন্দ্র শোভা পাচ্ছে। তিনি বিচিত্র অলংকার, রক্তবস্ত্র, রক্তকুসুমের মালা ও রক্তচন্দনে সুসজ্জিতা। তিনি বামহস্তে অভয়মুদ্রা ও দক্ষিণ হস্তে বরমুদ্রা ধারণ করে আছেন। দুর্গাপূজার মহাষ্টমী বা মহানবমী তিথিতে আমরা এই রূপে ভগবতীকে মণ্ডপে-মণ্ডপে বা […]Read More
নীলোৎপলদলশ্যামা চতুর্বাহুসমন্বিতা। খট্বাঙ্গ চন্দ্রহাসঞ্চ বিভ্রতী দক্ষিণে করে।। বামে চর্মজপাশঞ্চ ঊর্ধ্বাধোভাগতঃ পুনঃ। দধতী মুণ্ডমালাঞ্চ ব্যাঘ্রচর্মধরাম্বরা।। কৃশোদরী দীর্ঘদংষ্ট্রা অতিদীর্ঘাতিভীষণা। লোলজিহ্বা নিম্নরক্তনয়না রাবভীষণা।। কবন্ধবাহনাসীনা বিস্তারশ্রবণাননা। এষা কালী সমাখ্যাতা চামুণ্ডা ইতি কথ্যতে।। দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর এক দণ্ড এবং মহানবমীর এক দণ্ড, অর্থাৎ, সর্বমোট আটচল্লিশ মিনিটের মধ্যে চামুণ্ডা দেবীর পূজার প্রচলন আছে। দুই তিথির সন্ধিক্ষণে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় বলে একে […]Read More
“আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি, পূজার সময় এল কাছে।” মধু আর বিধুর ‘পূজার সাজ’, লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখন অবিশ্যি আর আশ্বিনের মাঝ বরাবর যেতে হয় না, তার বহু আগেই বেজে ওঠে পুজোর বাজনা। এই উন্মাদনা নবীন নয়, বরং বেশ পুরাতন। রাজা কংস নারায়ণ থেকে শুরু করে সদর নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, রাজ পরিবারের চণ্ডীমণ্ডপ থেকে জমিদার […]Read More
আজ কুকুরের ছানাগুলো রুটি-ভাত পায়নি – কেঁউ কেঁউ ক’রে কেঁদে শেষমেশ থেমেছে। কারা যেন গলির ওপার থেকে লাফ দিলো, আততায়ী এই বেলা দেখা দিতে এসেছে। চারটে কুকুরছানা, দুটোকে থেঁতলে গেছে; গতকাল রাতে এই আগাম বার্তা রেখে আজকে আসল কাজ সারতে আসছে তারা অন্ধকারের রং ভালো ক’রে গায়ে মেখে… এখন গলিটা কানা, ছিটকে পড়ল ফোন। দরজা […]Read More
শ্রীরামকৃষ্ণ-সারদা এড়িয়ে মার্ক্স কপচায় যারা, বিবেকানন্দ-অরবিন্দকে সরিয়ে রেখেছে যারা, রামধনুকে “রংধনু”তে বদলে দিলো যারা, এই বাংলায় বহিরাগত, বহিরাগত তারা! কৃত্তিবাসের শ্রীরাম-পাঁচালী কখনো শোনেনি যারা, “জয় জয় রাম” উঠলে ধ্বনি চোখ পাকাচ্ছে যারা, রামকৃষ্ণের-চৈতন্যের ইষ্ট ভুলেছে যারা, এই বাংলায় বহিরাগত, বহিরাগত তারা! ক্ষুদিরামকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছে যারা, বঙ্কিমকে, চন্দ্রনাথকে হিংস্র বলছে যারা, করতে পূজো সরস্বতীর দিচ্ছে […]Read More
ভারতীয় উপমহাদেশে উপস্থিত সকল বৈচিত্র্যের মধ্যে বিশিষ্টতা এই যে, এই পুণ্যভূমিতে উৎকীর্ণ আকর থেকে চিরকাল আধ্যাত্মিক সম্পদই অধিক খনিত হয়েছে। অকূল সফেন সমুদ্রে রত্নপুঞ্জের যে বৈচিত্র্য, ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক দর্শনের অপরিমেয়তা তাকে বিজিত করে। ভারতবর্ষে তাই যুগে যুগে বিচিত্র ভাবরাজি নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষের আবির্ভাব ঘটে, যাঁরা যুগ-প্রয়োজনীয় ধর্মের সূত্রপাত করেন, আধ্যাত্মিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রচার করেন। তাঁদের […]Read More
রামায় রামচন্দ্রায় রামভদ্রায় বেধসে। রঘুনাথায় নাথায় সীতায়াঃ পতয়ে নমঃ।। বিদ্বৎমহলে গুঞ্জরণ উঠেছে, রঘুপতি কৌশল্যানন্দন শ্রীরাম বঙ্গীয় সংস্কৃতির অঙ্গীভূত নন। ইতিহাস বাঙ্ময় হলে এই দুষ্প্রচারণার জবাব স্বতই কালের গর্ভ থেকে উৎসারিত হত। দুর্ভাগ্য, বঙ্গের জলবায়ু এমনই, ইতিহাসের প্রস্তরগাত্রে উৎকীর্ণ কালের পদচিহ্ন খুব সহজেই মুছে যায়। সেই অস্পষ্ট ইতিহাসকে কিঞ্চিৎ স্পষ্ট করে দেওয়াই আমাদের কর্তব্য। কৃত্তিবাস ও […]Read More