উপনিষদের কাহিনি ও নব্যপ্রজন্ম

 উপনিষদের কাহিনি ও নব্যপ্রজন্ম

‘উপনিষদ্যতে প্রাপ্যতে ব্রহ্মবিদ্যা’। ব্রহ্মবিদ্যা অর্জিত হয়, এমন শাস্ত্রই উপনিষদ্। উপনিষদ্ বৈদিক সাহিত্যের চতুর্থ বা শেষ স্তম্ভ, একে ‘বেদান্ত’-ও বলা হয়। বেদের জ্ঞানকাণ্ড বা দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে উপনিষদে। উপনিষদের মধ্যে আমরা একেশ্বরবাদ, সর্বেশ্বরবাদ, ব্রহ্মবাদ প্রভৃতি নানান দর্শনের ধারণা পাই। নানান গল্পের মাধ্যমে আমরা জীবনচর্যার কথা শিখি, জীবনে চলার পথে যা আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। বৈদিক কর্মকাণ্ডের বাইরেও যে তত্ত্বজ্ঞান আমরা পেয়ে থাকি, তাতে এটাই প্রমাণিত হয় যে সনাতন ধর্ম কেবল স্থূল আচারসর্বস্ব কোনও ধর্ম নয়। ধর্মের পথে চলতে গেলে আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন আছে, কিন্তু দর্শনহীন আচার সমাজে কলুষ সৃষ্টি করে, বিভাজন সৃষ্টি করে। তাই বর্তমান যুগের নব্য প্রজন্ম ও ভাবী প্রজন্মের কাছে পথের দিশা হিসেবে বেদান্তের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। একবার বেদান্তের তত্ত্ব হৃদয়স্থ হয়ে গেলে তারপর আর পথভ্রমের আশংকা থাকে না। উপনিষদের ঋষিরা কবিও, উপনিষদ যেন কাব্য। কবিতার মতোই উপনিষদের কাহিনির বিভিন্ন রূপকের অন্তরালে সুপ্ত আছে সেই ব্রহ্মবিদ্যা, যা জানলে নতুন প্রজন্ম ভারতবর্ষকে নতুন আলো দেখাতে পারে। ভারতবর্ষের আকাশে উঠতে পারে বেদান্তসূর্য। 

ভারতীয় দর্শনের মূলধারাই লুকিয়ে আছে উপনিষদের মধ্যে। স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায়, ‘অদ্বৈতবাদ ধর্মের এবং চিন্তার শেষ কথা’। সমাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসে, ‘প্রেয়’ ও ‘শ্রেয়’-র মাধ্যমে। যা ব্যাষ্টি চাইছে, তা প্রেয়। আর যা সামগ্রিক কল্যাণের জন্য তা শ্রেয়। কঠ উপনিষদ ‘শ্রেয়’-র বিধান দিয়েছে, সামাজিক কল্যাণের জন্য। আর অদ্বৈত ভাব আমাদের ধর্মীয় আচারসর্বস্ব কলুষতা থেকে মুক্ত করে ধর্মের উদারভাবের দিকে আমাদের আগ্রহী করে। তাতে সামাজিক বা ধর্মীয় ভেদাভেদ, হিংসা, জটিলতা কমে। 

সংগচ্ছধ্বং সংবদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্।

দেবা ভাগং যথা পূর্বে সং জানানা উপাসতে ॥

সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী সমানাং মন সহ চিত্তমেষাম্।

সমানাং মন্ত্রমভিমন্ত্র য়ে বঃ সমানেন বো হবিষা জুহোমি ॥

সংজ্ঞান সূত্রে বলা হচ্ছে একসঙ্গে চলার কথা, একত্রে বলার কথা ও মন বিনিময়ের কথা, যেমন দেবতারা হবি ভাগ করে নিতেন। একই মন্ত্রে, একই মন্ত্রণায়, একই সমিতিতে, একই মনোবিচারে আমরা হোম করি। এই মন্ত্রেই লুকিয়ে আছে আমাদের স্বপ্নের সাম্যসমাজ। 

বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা গভীরভাবে চিন্তা করার অনীহা। কোনও গভীর ও গম্ভীর বিষয়ের প্রতি তাঁদের এই অনাগ্রহ উৎকণ্ঠার কারণ। সমাজে স্বাধীন চিন্তার যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। এমন নয় যে, সকলকে কোনও না কোনও আদর্শ বা মতবাদকে আশ্রয় করেই বিকশিত হতে হবে। কিন্তু সেই স্বাধীন চিন্তা যদি অগভীর মনন থেকে উৎসারিত হয়, তবে সমাজে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। স্বাধীন চিন্তা তখনই মঙ্গলময় হবে, যখন তার মূলে ভারতবর্ষের নিজস্ব কোনও সুদৃঢ় আদর্শের বীজ লুকিয়ে থাকবে। আধুনিক প্রজন্মের অধিক অংশের মধ্যেই এই অগভীর চিন্তার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এই ভবিতব্যের কথা মাথায় রেখেই বাদরায়ণ প্রমুখ ঋষিগণ বেদের সারবত্তা তথা উপনিষদের বাণীগুলি সূত্রাকারে রচনা করে গিয়েছেন। পরবর্তীকালে আদি শংকর প্রমুখ জগতগুরুগণ সেগুলির ভাষ্য করেছেন। তারও পরে সেগুলি আরও সরলতর আকারে পরিবেশিত হয়েছে। উপনিষদে বর্ণিত নানান ঘটনাবলী ও কথোপকথন পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সরলতম ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। শিশুতোষ কাহিনি থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের জন্যই পরিবেশিত হয়েছে ‘উপনিষদের গল্প’। গল্পগুলির মহিমা এখানেই, সেগুলি আকারে সংক্ষিপ্ত হলেও রূপকের মাধ্যমে অল্প শব্দেই আমাদের জীবনদর্শন বদলে দিতে সক্ষম। 

‘Perspective’, বর্তমান জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ। দৃষ্টিকোণ বা পরিপ্রেক্ষিত বিচার করা জীবনের একটা অঙ্গ। বৃহদারণ্যক উপনিষদের একটি গল্পের প্রসঙ্গে আসা যাক। ঋষির আশ্রমে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তাঁর দেবতা, মানুষ ও দানব শিষ্যকুল। অনুষ্ঠান শেষে ঋষি প্রত্যেককেই উপদেশ হিসেবে ‘দ’ এই শব্দটি শ্রবণ করালেন। শিষ্যরাও আশ্রম থেকে বিদায় নিলেন। এবার ‘দ’ শব্দটি একেক কুলের শিষ্যরা একেক অর্থে গ্রহণ করলেন। দেবতারা বুঝলেন, দাম্যত, অর্থাৎ নিজেদের বিপুল ঐশ্বর্য ও অসীম ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যেয়ো না, আত্মদমন করো, বাসনা দমন করো, অধিক ক্ষমতা ও ঐশ্বর্যের কামনাকে দমন করো। মানবরা বুঝলেন, দত্ত, অর্থাৎ দান করো। মানুষ প্রকৃতি থেকে যে ঐশ্বর্য আহরণ করে, তা কেবল তার নিজের জন্য নয়। স্বার্থান্ধ ও লোভ সমাজের অকল্যাণ দেকে আনে। তাই, যা পাচ্ছ, তা দান করো। দান করারও বিধি আছে, পঞ্চযজ্ঞের কথা বলা আছে। এছাড়াও ‘শ্রদ্ধয়া দেয়ম্ অশ্রদ্ধয়া অদেয়ম্’ ইত্যাদি তৈত্তিরীয় উপনিষদের কথা। আর দানবকুল ‘দ’ অর্থে বুঝলেন দয়ধ্বম, অর্থাৎ  দয়ালু হও। দানবোচিত হিংসাপ্রবৃত্তিকে সংযত রেখে জগতকল্যাণের জন্য দয়ালু হও। 

অধুনা প্রাত্যহিক জীবনে নানান প্রলোভন প্রতিনিয়ত আমাদের প্রভাবিত করে, যা থেকে আসে হতাশা অথবা অতৃপ্তি। নবপ্রজন্মকে দিশা দেখাতে পারে উপনিষদ। চরিত্রগঠন, দৃষ্টিকোণ বা জীবনের উদ্দেশ্য, যাই বলা হোক তা নির্ধারণ করতে সহযোগী হবে উপনিষদের কাহিনি।  

ঈশা বাস্যমিদং সর্ব্বং যৎকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ

তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা মা গৃধঃ কস্যসিদ্ধনং।

কুর্ব্বন্নেবেহ কর্ম্মাণি জিজীবিষেচ্ছতং সমাঃ

এবং ত্বয়ি নান্যথেতোইস্তি ন কর্ম্ম লিপ্যতে নরে।

ঈশ্বরের ধারণা, কর্মসাধনা ও সংসারযাত্রা সুচারুভাবে নির্বাহ করার জন্য উপনিষদের নীতি বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই গ্রহণযোগ্য। ঈশ্বর এই সমগ্র জগৎকে আচ্ছাদন করে রেখেছেন, জীবকে তিনি যতটুকু দিচ্ছেন, জীব তাই গ্রহণ করবে, অন্যের আনন্দ হরণ করবে না। যতদীন জীবের আয়ু ততদিন সে কর্মের মধ্যে থাকবে, কর্মহীন থাকার কোনও উপায় নেই। প্রথমত, সর্বব্যাপী ঈশ্বরের ধারণা তৈরি হওয়া এবং পরমাত্মার প্রতি দৃষ্টি রেখে কর্ম করে যাওয়া এই ভাবটি নতুন প্রজন্মের স্থিরদৃষ্টি নির্মাণে সহায়ক হবে। আধ্যাত্মিকতা ও সংসারের মধ্যে অদ্ভুত সামঞ্জস্য রক্ষা করেছে উপনিষদ। ঈশোপনষিদের উল্লিখিত শ্লোকের আরেক অংশেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র ব্রহ্মসাধন বা শুধুমাত্র সংসারসাধন উভয়ই তামসিক ভাব। ঈশ্বরের সৃষ্টি এই সংসার জেনে উভয় সাধনাই সুন্দরভাবে সাধিত করতে হবে। বর্তমান যুগে আমরা ও আমাদের নতুন প্রজন্ম ব্যস্ত ও আত্মকেন্দ্রিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত। জীবনের শান্তি খুঁজে পাই এমন নেশায়, যা মস্তিষ্কের একটা অংশকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণহীন করে দেয়। এমন বিনোদন খুঁজে নিতে হয়, যার মধ্যে নির্মল আনন্দ নেই, আছে সুষুপ্ত হিংসা, কাম, স্বার্থান্বেষণ। সংসারে কর্তব্যকর্ম পালনের পর ঈশ্বরও যে আমাদের আশ্রয় হতে পারেন, এই ধারণাটাই অনেকের কাছে অমূলক। সমাজে ধর্মীয় উৎসব হয় শুধু, মানুষ দিনকয়েকের আয়োজনে মেতে থাকে। কিন্তু এই মাটির প্রতিমার অন্তরালে যে ভাব লুকিয়ে থাকে, তা-ই উপনিষদ। বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম যেন সেই ভাবকে আশ্রয় করতে পারে, তবেই সে সুস্থভাবে উৎসব পালন করতে পারবে। 

বাল্য অথবা কৈশোর অবস্থায় মানুষের প্রশ্ন বেশি থাকে, জানার কৌতুহল বেশি থাকে। নতুন চোখে জগতের যত অচেনা সে জেনে নিতে চায়। তখন যদি তাকে সুশিক্ষার মাধ্যমে উপনিষদের আলোয় পথ দেখানো যায়, তবে কার্যসিদ্ধি হবে। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন, “গাছ চারা থাকতে বেড়া দিতে হয়, নাহলে গোরু-ছাগলে মুড়িয়ে খায়।” সুতরাং কৈশোরের হাসি-খেলা-ঊচ্ছ্বাসের মাঝেই সযত্নে তাকে শুনিয়ে রাখতে হবে উপমন্যু ও আরুণির গল্প। কর্তব্যনিষ্ঠায় অবিচল থেকে এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা কীভাবে লাভ করেছিলেন ব্রহ্মবিদ্যা। উপনিষদের নানান গল্প থেকে সংগ্রহ করে ছোট ছোট নীতিমূলক পরীক্ষা নেওয়া দরকার শিশু-কিশোরদের। চিনিয়ে দেওয়া দরকার, ঐহিক আনন্দ নয়, অসীম পরম আনন্দের প্রতি ধাবিত হওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত, যা একবার পেলে কখনও ফুরায় না, নষ্ট হয় না। আমাদের মনে রাখতে হবে, উপনিষদের শ্রেষ্ঠতম অংশ, যেখানে যমরাজ মৃত্যতত্ত্ব বলছেন, সেখানে প্রশ্নকারী বালক নচিকেতা। আচার্য নন্দলাল বসুর চিত্রভাবনায় ফুটে উঠেছে সেই দৃশ্য।

নব্য প্রজন্মের কাছে আরও একটি বিষয় খুব সহজলভ্য, ইন্দ্রিয় বিলাস। ডিজিটাল যুগে এমন কিছু নেই যা তারা চাইলেই দেখতে পায় না। তাতে যেমন উপকার আছে, অপকারও নেহাত কম নয়। পঞ্চেন্দ্রিয় ছাড়াও আরেকটি জিনিসকে আমরা ‘ইন্দ্রিয়’ নামে চিনি, তা হল কামাদি রপু। এখনকার প্রজন্ম পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে খুব দ্রুত জেনে ফেলে সব। কিন্তু জানলেও তার তো নির্দিষ্ট শিক্ষা নেই ব্যবহারের। ফলত, ভুল অনুশীলন, ভুল চর্চার মাধ্যমে নষ্ট হয় শৈশব বা কৈশোর এবং স্বাভাবিকভাবেই যৌবনও। উপনিষদ কোনও ইন্দ্রিয়কেই অস্বীকার করেনি, ইন্দ্রিয় দমনের কথাও বলেনি। ইন্দ্রিয়, আত্মা ও মন এই হচ্ছে মানবের সত্তা। কঠ উপনিষদে বলা হচ্ছে, ইন্দ্রিয় অশ্বের মতো, মন তার সারথী, ইন্দ্রিয় যাতে ভুল পথে না ছোটে, তা নিয়ন্ত্রণ করবে মন। তাই ইন্দ্রিয়ের বাঁধনহীন উল্লাসে বা দমনে যে বিকৃতি আসে, নিয়ন্ত্রণে তা হয় না। ভারতের মতো জনবহুল দেশে এই ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ, যৌনশিক্ষা ইত্যাদির পাঠ যদি অনতিবিলম্বে শুরু হয়, তাতে আবশ্যিকরূপে নেতৃত্ব দেবে উপনিষদ, এবং আগামী প্রজন্মের জন্যও তা শুভ হবে। 

ভারতীয় দর্শনের মূলধারাই লুকিয়ে আছে উপনিষদের মধ্যে। স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায়, ‘অদ্বৈতবাদ ধর্মের এবং চিন্তার শেষ কথা’। সমাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসে, ‘প্রেয়’ ও ‘শ্রেয়’-র মাধ্যমে। যা ব্যাষ্টি চাইছে, তা প্রেয়। আর যা সামগ্রিক কল্যাণের জন্য তা শ্রেয়। কঠ উপনিষদ ‘শ্রেয়’-র বিধান দিয়েছে, সামাজিক কল্যাণের জন্য। আর অদ্বৈত ভাব আমাদের ধর্মীয় আচারসর্বস্ব কলুষতা থেকে মুক্ত করে ধর্মের উদারভাবের দিকে আমাদের আগ্রহী করে। তাতে সামাজিক বা ধর্মীয় ভেদাভেদ, হিংসা, জটিলতা কমে।  

‘দ্য ইন্ডিয়ান জার্নাল অব সাইকিয়াট্রি’-র ২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে বসবাসকারী পাঁচকোটি কিশোর-কিশোরী মানসিক সমস্যায় ভুগছে, যার মধ্যে ৮০-৯০ শতাংশেরই সঠিক চিকিৎসা হয়নি বা পর্যাপ্ত পরিকাঠামো বা পরিস্থিতি নেই। তারপর এসেছে মহামারী। কোভিড-১৯ আসার পর দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধিক কিশোর-যুবকদের মধ্যে অ্যাংজ়াইটি, ডিপ্রেশন জাতীয় মানসিক রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। আত্মহত্যার প্রবণতাও অনেকমাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। আমরা এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে নিজেদের নানান জটিলতার মধ্যেও দুশ্চিন্তা হচ্ছে ভাবী প্রজন্মের জন্য। সামগ্রিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ এবং আরও খারাপের দিকে এগিয়ে চলেছে, তাতে মধ্য বা নিম্নবিত্তের মধ্যে আশঙ্কার ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। মহামারীতে কত মানুষের আত্মীয়-স্বজন হারিয়ে গেছে অজানা পথে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব কিন্তু নতুন ও ভাবী প্রজন্মের উপরেই পড়েছে এবং পড়বে। সামাজিক পরিস্থিতি আমূল বদলে গেলেও উপনিষদের কথা বা নীতি কখনও অপ্রাসঙ্গিক হবে না। সুতরাং আমাদের উচিত তাকে আশ্রয় করা। এই বায়ু, নদীর জল, ওষধি, ধরণীর ধূলি, দ্যুলোক, বনস্পতি, সুর্য, গাভী সকলকিছু মধুময় হোক আবার। 

মধুবাতা ঋতায়তে। মধু ক্ষরন্তি সিন্ধব:। মাধ্বীর্ন: সন্তোষধি:।

মধু নক্তমুতোষসো। মধুমত্‍ পার্থিবং রজ:। মধু দ্যৌরস্তু ন: পিতা। 

মধুমান্নো বনস্পতির্মধুমানস্তু সূর্য:। মাধ্বীর্গাবো ভবন্তু ন: ॥ (বৃহদারণ্যক)

Ganesh Thakur

0 Reviews

Related post