“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যম-দুয়ারে পড়ল কাঁটা। যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।” কার্তিকের শুক্ল দ্বিতীয়া তিথিতে বাংলা তথা ভারতের ঘরে ঘরে পালিত হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা। বোনেরা ভাইয়ের কপালে চন্দন বা দইয়ের ফোঁটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করায়। ধান-দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়। উলু, শঙ্খ প্রভৃতি মঙ্গলধ্বনিতে মুখরিত হয়ে থাকে ঘর। উপহার দেওয়া-নেওয়া […]Read More
নবদ্বীপের এই প্রত্যন্ত পল্লীতে রাত যেন বড়ো তাড়াতাড়ি শেষ হয়। হৈমন্তী ভোর বড়ো মায়া জড়িয়ে রাখে পল্লীর পরতে পরতে। এমন এক নিষাদ ভোরে হঠাৎই মেঘের ভৈরবে কোমল রেখাবের গাম্ভীর্য ধরা দিল। সোনালী রোদ নেই, আকাশ জুড়ে কেবল অকাল কালো মেঘ। গতরাতের পুজো শেষ হতে বেশ দেরি হয়েছে। মাধ্বীর নেশা কাটতে না কাটতেই ব্রাহ্মমূহুর্ত পেরিয়ে সকাল […]Read More
নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ কো জাগর্তি মহীতলে। জগৎ প্রক্রমতে তস্যাং লোকচেষ্টাবলোকিনী।। নারিকেলোদকং পীত্বা অক্ষৈর্জাগরণং নিশি। তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি কো জাগর্তি মহীতলে।। শূন্য ঘরে জোড়া পায়ের আলপনা। কেউ কোথাও নেই তাঁর, তবু লক্ষ্মীপুজোটুকু রয়েছে। অশক্ত শরীরেও কত আয়োজন, ‘দ্যাশের পূজা’ বলে কথা…। পূর্ণিমার জ্যোৎস্নাপথ বেয়ে ঘরে নেমে এল একটি ফুটফুটে চাঁদের কণা মেয়ে,—“কে জেগে আছ?” —“আমি…। প্রসাদ […]Read More
কুমারীং কমলারুঢ়াং ত্রিনেত্রাং চন্দ্রশেখরাম্ তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভাং নানালংকারভূষিতাম্। রক্তাম্বরপরিধানাং রক্তমাল্যানুলেপনাম্ বামেনাভয়দাং ধ্যায়েদ্দক্ষিণেন বরপ্রদাম্।। তিনি কুমারী, গলিত সোনার মতো তাঁর গায়ের রঙ, ত্রিনেত্রা, তাঁর কিরীটে চন্দ্র শোভা পাচ্ছে। তিনি বিচিত্র অলংকার, রক্তবস্ত্র, রক্তকুসুমের মালা ও রক্তচন্দনে সুসজ্জিতা। তিনি বামহস্তে অভয়মুদ্রা ও দক্ষিণ হস্তে বরমুদ্রা ধারণ করে আছেন। দুর্গাপূজার মহাষ্টমী বা মহানবমী তিথিতে আমরা এই রূপে ভগবতীকে মণ্ডপে-মণ্ডপে বা […]Read More
নীলোৎপলদলশ্যামা চতুর্বাহুসমন্বিতা। খট্বাঙ্গ চন্দ্রহাসঞ্চ বিভ্রতী দক্ষিণে করে।। বামে চর্মজপাশঞ্চ ঊর্ধ্বাধোভাগতঃ পুনঃ। দধতী মুণ্ডমালাঞ্চ ব্যাঘ্রচর্মধরাম্বরা।। কৃশোদরী দীর্ঘদংষ্ট্রা অতিদীর্ঘাতিভীষণা। লোলজিহ্বা নিম্নরক্তনয়না রাবভীষণা।। কবন্ধবাহনাসীনা বিস্তারশ্রবণাননা। এষা কালী সমাখ্যাতা চামুণ্ডা ইতি কথ্যতে।। দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর এক দণ্ড এবং মহানবমীর এক দণ্ড, অর্থাৎ, সর্বমোট আটচল্লিশ মিনিটের মধ্যে চামুণ্ডা দেবীর পূজার প্রচলন আছে। দুই তিথির সন্ধিক্ষণে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় বলে একে […]Read More
“তং অগ্নিবর্ণাং তপসা জ্বলন্তীং বৈরোচনীং কর্মফলেষু জুষ্টাম্। দুর্গাং দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে সুতরসি তরসে নমঃ।।” হে অগ্নিবর্ণা মহামায়া, প্রজ্জ্বলিত হুতাশনে রিপুবারণকারিনী, কৃতকার্যফলের দ্বারা প্রসাদিতা, আমি আপনার চরণারবিন্দে উপনীত। হে দুর্গতিনিবারিণী দেবী, প্রণতকে এই সংসারদুর্গম থেকে কৃপা করে ত্রাণ করুন। পূজিব চন্দনে দিয়া পদ্ম-বিল্ব-জবা। শারদা সারদা আর ক্ষিরোদসম্ভবা। দক্ষিণে কুমারে বামে গিরিসুতাসুতে। রক্ষিয়া পূজিব আমি হঞা ভক্তিযুতে।। […]Read More
“আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি, পূজার সময় এল কাছে।” মধু আর বিধুর ‘পূজার সাজ’, লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখন অবিশ্যি আর আশ্বিনের মাঝ বরাবর যেতে হয় না, তার বহু আগেই বেজে ওঠে পুজোর বাজনা। এই উন্মাদনা নবীন নয়, বরং বেশ পুরাতন। রাজা কংস নারায়ণ থেকে শুরু করে সদর নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, রাজ পরিবারের চণ্ডীমণ্ডপ থেকে জমিদার […]Read More