কলকাতা এগারো
আজ কুকুরের ছানাগুলো রুটি-ভাত পায়নি –
কেঁউ কেঁউ ক’রে কেঁদে শেষমেশ থেমেছে।
কারা যেন গলির ওপার থেকে লাফ দিলো,
আততায়ী এই বেলা দেখা দিতে এসেছে।
চারটে কুকুরছানা, দুটোকে থেঁতলে গেছে;
গতকাল রাতে এই আগাম বার্তা রেখে
আজকে আসল কাজ সারতে আসছে তারা
অন্ধকারের রং ভালো ক’রে গায়ে মেখে…
এখন গলিটা কানা, ছিটকে পড়ল ফোন।
দরজা ভেঙেছে ওরা, লুকোনো ঘরের কোণ
শেষবার দেয়ালেতে মুখ ঠেসে ব’লে দিলো :
পলিটিক্স শখ? শ্যাল্লা, ঘরে নেই মা-বোন?
আঁধার নেমেছে ঘরে। কুকুর-মানুষ শব
পাশাপাশি শুয়ে থাকে। এরপরে মাস চার
মর্গে গলবে বডি। বুকফাটা কান্নায়
মা যাবে মূর্ছা, আর দাদার সর্বনাশ
কোর্টের গহ্বরে – দীর্ঘ শরীরখানা
দ্রুতবেগে ভেঙে যাবে। রাস্তায় বারোমাস
খেলা হবে, খেলা হবে, উত্তাল খেলা হবে
(Note: The context of this poem may be understood from this report)